আসসালামু আলাইকুম। সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আজকের টিউটোরিয়ালে, যেখানে আমরা আলোচনা করবো- ক্লাউড কম্পিউটিং সম্পর্কে।
চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক, আজকের টপিকটিতে কি কি আলোচ্য বিষয়গুলো থাকছে –
√ক্লাউড কম্পিউটিং কি
√ ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশিষ্ট্য
√ ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধা
√ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ
√ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার
- ক্লাউড কম্পিউটিং কি?
মূল টপিকটির নাম শুনেই এতক্ষনে আমাদের মনে নিশ্চয় এই প্রশ্নটি তো এসেছেই যে, ক্লাউড এর সাথে আবার কম্পিউটারের কি সম্পর্ক হতে পারে? বহু আগে থেকেই নেটওয়ার্ক ডায়াগ্রাম আকার সময়, ক্লায়েন্ট এবং সার্ভারের মাঝের ইন্টারনেট অংশকে ক্লাউড চিন্হ দিয়ে বুঝানো হতো। সেখান থেকেই মূলত ক্লাউড কম্পিউটিং কথাটি এসেছে। আবার, ক্লাউড কম্পিউটিং এর ক্ষেত্রে সার্ভিস প্রোভাইডার সার্ভারগুলো থাকে দূরের কোনো দেশে বা ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে, তাই আমরা দুরাকাশের মেঘের সাথে এটিকে তুলনা করতে পারি এবং সেইসকল সার্ভার থেকে আমাদের কম্পিউটারে আসা সার্ভিসগুলোকে relate করতে পারি মেঘ থেকে পাওয়া ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টির সাথে। ক্লাউড কম্পিউটিং কথাটির রহস্য তো জানা গেলো, এখন যদি বলতে চাই ক্লাউড কম্পিউটিং কাকে বলে, তাহলে সহজ ভাষায় আমরা বলতেই পারি, ইউজার/ ক্লায়েন্ট এর চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স শেয়ার, কম্পিউটার সেবা, সার্ভার, স্টোরেজ, হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার রিলেটেড বিভিন্ন সার্ভিস সহজে যেকোনো জায়গা থেকে সুবিধা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে নির্দিষ্ট fee এর মাধ্যমে ভাড়া নেয়ার সিস্টেম হলো ক্লাউড কম্পিউটিং। নেটফ্লিক্স , ফেসবুক, ইউটিউব , বিভিন্ন ইমেইল সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করে থাকে।
2.ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের বৈশিষ্ট্য:
3. ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যাবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যায় – এখন তাহলে জেনে নেয়া যাক, ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের সুবিধাগুলো:
Low Operating cost : cloud computing এ খুবই কম খরচে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ভাড়া করা যায়। এবং যার কারণে অপারেটিং সিস্টেম cost বিবেচনায় ক্লাউড কম্পিউটিং যথেষ্ঠ সাশ্রয়ী।
Metered Service & Flexibility : যতটুকু সার্ভিস ব্যাবহার করবো, সেই অনুযায়ী ততটুকু pay করবো।
Unlimited storages: ডেটা রাখার জন্য যখন যতটুকু স্টোরেজ দরকার ততো স্টোরেজ সুবিধা দেয়া যায়, স্টোরেজ shortage নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারন থাকে না ।
Security: ক্লাউড কম্পিউটিং প্রোভাইডার সার্ভিসগুলো সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করে।
Auto upgradable: Cloud কম্পিউটিং এ সফটওয়্যারগুলো অটো আপডেতেড এবং মেইনটেন্যান্স এর সুবিধা থাকে।
Data lost: ক্লাউড থেকে ডেটা হারানোর কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
Anytime Anywhere: রেজিস্ট্রার করা ক্লায়েন্টেরা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গা থেকে ডেটা অ্যাকসেস করতে পারে।
Preferable For Start Up: কোনো একটি কোম্পানি বা ব্যবসা স্টার্ট আপ এর সময় খরচ কমাতে cloud computing বেশ preferable ।
Energy Savings: ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার করলে পাওয়ার/ ইলেক্ট্রিসিটি ডাউন এর ঝামেলা থাকে না,কারন তাদের ডেটা সেন্টারগুলো সার্বক্ষণিক আপ অ্যান্ড আপডেটেড থাকে।
4. ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ:
ক্লাউড কম্পিউটিং কে প্রধানত দুইটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায় –
- Service অনুসারে ক্লাউড কে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয় ।
2. Model অনুসারে ক্লাউডকে চার ভাগে ভাগ করা হয় ।
5. ক্লাউড সার্ভিস প্রোভাইডার:
1960 সালে জন ম্যাক ক্যার্থি ক্লাউড কম্পিউটিং এর ধারণা দেন, 1990 সালের দিকে এই ধারণাটি ভিত্তি লাভ করে। 1999 সালে sales farce নামের কোম্পানি এই সেবা প্রদান শুরু করে, 2006 সালের দিকে আমাজন ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস প্রোভাইড শুরু করে। ক্রমান্বয়ে Google মাইক্রোসফট, আলিবাবা , ওরাকল IBM ইত্যাদি কোম্পানিগুলো ক্লাউড সার্ভিসিং প্রোভাইডার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ক্লাউড সার্ভিসিং প্রোভাইডার হলো সেই সকল কোম্পানি যারা ক্লাউড কাস্টমারের কাছে তাদের প্রয়োজনীয় ক্লাউড সার্ভিস গুলো বিক্রি করে। জনপ্রিয় ক্লাউড সার্ভিসিং প্রোভাইডার গুলো হলো আমাজন ওয়েব সার্ভিস, গুগল ক্লাউড , মাইক্রোসফটের Azure, ওরাকল, আলিবাবা ক্লাউড, IBM ক্লাউড ইত্যাদি।
আজকের টিউটোরিয়াল এই পর্যন্তই, এতখন সাথে থাকার জন্য সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ। আগামী টিউটোরিয়ালে AWS এর আলোচনা নিয়ে আবারও ফিরে আসবো আপনাদের মাঝে, সেই পর্যন্ত সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকুন; লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার দিয়ে এইভাবেই সবসময় আমাদের সাথেই থাকুন।